'দিয়া' : পাশবিকতার বিরুদ্ধে জাগুক বিবেক

মাঝে মাঝে মাথায় অদ্ভুত সব চিন্তার উদয় হয়। এই যেমন ধরেন নিউটনের বাবা-মা যদি তার কনসিভের সময় কন্ট্রাসেপটিভ ইউজ করতো, তাহলে মহাকর্ষ-অভিকর্ষের কী হত? অথবা আইনস্টাইন, ডাল্টন কিংবা আপনার আমার ব্যাপারেও যদি এমন হত? তাহলে কী হত?

অথবা লাদেন, ক্যাস্ট্রো, চেগুয়েবারারা যদি জন্মাতে না পারতেন তাহলে পৃথিবীর চেহারা কেমন হত? আবার  হাল আমলের বাগাদাদি-সালমান-ট্রাম্পদের বাবা মায়েরা যদি কন্ট্রাচেপ্টিভ ইউজ করতো, তাহলে বিশ্বের জন্য কতইনা ভাল হত।

ভাবুন, গর্ভপাতের মাধ্যমে প্রতিদিন কত মানব সন্তানকে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ, এদের মধ্যে হয়ত রয়েছে আলেকজান্ডার,  নেপোলিয়নের মত মহাবীর।  আবার থাকতে পারে নিউটন-আইনেস্টাইনের মতও বিজ্ঞানী।

'দিয়া' একটা তামিল মুভির নাম। এখানে সে রকমেরই একটা অবস্থা ফুটে উঠেছে।

টিনএজ দুইটি ছেলেমেয়ের আবেগতাড়িত সম্পর্কের কারনে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। অভিবাবকরা এটা মেনে নিতে পারে না। শেষে তাকে গর্ভপাত করতে হয়। কিন্তু পাঁচবছর পর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু মা তার গর্ভপাত করা শিশুটির কথা ভুলতে পারে না। সব সময় সে অনুভব করে বাচ্চাটিকে। ছবি আঁকে। কিন্তু চেহারা দিতে পারে না।

এ দিকে গর্ভপাত হলেও বাচ্চাটির আত্মা পৃথিবীতে থেকে যায়। পাঁচ বছর পর সে হত্যা করে তার সকল হত্যাকারীদের (গর্ভপাতে জড়িত)।

আসলে সিনেমায় যখন ফুটফুটে বাচ্চাটিকে দেখে সেখানে আপনার নিজেকে কল্পনা করে দেখুন কেমন লাগে!


  • এক কথায় বলতে গেলে বর্তমান সময়ের পাশবিক সমাজের নষ্ট বিবেক জাগাতে হয়তোবা এই   মিভিটি সহায়তা করবে



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলা চলচ্চিত্রের সংকট ও সীমাবদ্ধতাঃ দুইটি বাংলা চলচ্চিত্রের পর্যবেক্ষণ ও তুলনামূলক পর্যালোচনা

কথাগুলো 'সাম্প্রদায়িক'

Coverage of Local Development Issues in Regional Newspaper of Chattogram