পোস্টগুলি

আমার পছন্দ

ভুল রাজনীতি নয়, চাই সঠিক দেশপ্রেম

আমি সাধারণত বাংলাদেশের খেলাগুলোকে রাজনীতির উর্দ্ধে রাখার প্রান্তকর চেষ্টা করি। বিশেষ করে যে ক্রিকেট বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়, মিশে দিয়েছে জাতি, বর্ণ, গোত্রকে এক ঐক্যের নিশানতলে; শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তানের নিন্দা নামক সীমাবদ্ধতার মাঝে তাই সেই ক্রিকেটকে বেঁধে রাখতে নারাজ। তাছাড়া যেসব কারনে আমরা কেউ পাকিস্তান আবার কেউ ভারতকে সমর্থনের বিরোধীতা করছি, ঠিক সে ই কারনটিতো ইংল্যান্ডের বেলায়ও প্রযোজ্য হওয়ার কথা। তাহলে এখন কি আমরা এই দাবী তুলবো যে, ইউরোপের শিল্প বিপ্লোত্তর সকল সম্পদ এই উপমহাদেশ, বিশেষত বাংলাদেশেরই প্রাপ্য। সুতরাং এসব সম্পদ আমাদের ফেরত দেয়া হোক!

কথাগুলো 'সাম্প্রদায়িক'

আকবরের পাপের ফল ভোগ করছে ইন্ডিয়ান মুসলিমরা। গত ক'দিনে সেখানে নাগরিকত্বের দাবীতে খুন হয়েছে দুই ডজনেরও বেশি মানুষ। যাদের প্রায় সবাই মুসলিম। পৃথিবী এই পর্যন্ত যত লম্পট শাসক পেয়েছে তার মধ্যে সম্রাট আকবর অন্যতম। সবমিলিয়ে ৩০০ টি বিয়ে করেছেন তিনি। এর বাহিরে রক্ষিতারা তো ছিলই।  হিন্দুপতিরা তাদের স্ত্রী-মেয়েদের নিজ ও ধর্মীয় স্বার্থে উপঢৌকন দিত আকবরকে। মূলত সেইসব নারীদের হাত ধরেই মোগল হেরেমের অন্দরের নয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ ভাগিয়ে নেয় তারা। যার সর্বশেষ পরিণতি সাম্রাজ্যের পতন এবং ধর্মীয় যজ্ঞের শিকার। শুরুটা কিন্তু মোদি করেননি। পরিকল্পনাটা করেছেন শিবাজি।  আর তাতে ঘি ঢেলেছে শত বছর আগে গঢ়ের মাঠে শিবাজি উৎসব। যেখানে রবীন্দ্রনাথ পাঠ করেছেন 'শিবাজি উৎসব' কবিতা। যাতে তিনি বলেছেন, আকাঙ্খা করে বলে- “এক ধর্ম কাব্য খন্ড ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত বেঁধে দিব আমি .....এক ধর্ম রাজ্য হবে এ ভারতে’ এ মহাবচন করিব সম্বল।” এই কবিতার অন্য চরণে  পানিপথ যুদ্ধের ইতিহাস টেনে তিনি বলেছেন, “আল্লাহো আকবর শব্দে বনভূমি প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছে/একদিকে তিন লক্ষ যবন (অসভ্য। উগ্র হিন্দুরা মুসলিমমদ...

চাকমা রাজারা কি মুসলিম ছিলেন?

ছবি
এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা রাজাদের তালিকা। যারা মূলত সুবিধাভোগী শ্রেণী।  নিজেদের ক্ষমতা টিকানোর জন্য যখন যে পাত্রে রাখা হয়, তখন সে পাত্রের আকার ধারণ করেন তারা। তালিকায়  ৫ থেকে ১৩ নম্বরের নামগুলি দেখুন। মনে হচ্ছে যেন, রাজা জালাল খান থেকে রাজা ধরমবক্স খান পর্যন্ত ১৭১৫ থেকে ১৮৩২ পর্যন্ত শাসন করা রাজারা মুসলমান ছিলেন। বাস্তবেই কি তাই? কখনোই না। তারা মুসলামন ছিলেননা। তালিকার সময়ানুযায়ী খেয়াল করলে বোঝা যাবে, মূলত চাকমা রাজারা তাদের স্বীয় সুবিধা চরিতার্থ করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতী-গোষ্টির কৃষ্টি-কালচার ও ধর্মীয় পরিচয় ধারন করে নিতেন।  ধরম বখস খানের পর তার স্ত্রী কালিন্দী রাণী রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে কালিন্দী বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে নিলে এরপর থেকে চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মের শাসনে চলে যায়। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় তিনি পার্বত্যে এলাকায় লুকিয়ে থাকা সিপাহীদের ইংরেজদের নিকট ধরিয়ে দিত।  কালিন্দীর মৃত্যুর পর ১৮৭৪ সালে তার মেয়ে পক্ষের নাতি হরিশ চন্দ্র রাজা হন। এসময়ে ইংরেজরা তাকে ‘রায়’ উপাধীতে ভূষিত করে। এরপর থকেই চাকমা রাজারা তাদের নামের শেষে ...

ইতিহাসে চাপা পড়া মিয়ানমির গণহত্যা দিবস আজ

 ৩১ জুলাই, ১৮৫৭ সাল। দিনটি ছিল শুক্রবার। রমজান মাসের শেষ দিন, পবিত্র জামাতুল বিদা। আর মাত্র একদিন পরই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু মুসলিম সেনাদের মুখে দুশ্চিন্তার কালো রেখা, কপাল কুঞ্চিত।    দখলদার ইংরেজ বাহিনীর কাছ থেকে এখনো ঈদের ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হবে কিনা সেটাও ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। চারদিকে একটা অবিশ্বাস আর ক্ষোভ দানা বাঁধছে। অবশ্য অনেক জায়গায় সেই ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটে গেছে ইতোমধ্যে। বিশেষ করে দিল্লীতে মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে যে বিদ্রোহের দাবানল জ্বলে ওঠেছে তা সারাদেশে প্রজ্জ্বলিত হতে শুরু করেছে। আর এই ভয়েই ভীত ইংরেজ বেনিয়াদের যত শঙ্কা মুসলিম সৈন্যদের ঈদের ছুটি নিয়ে। এক ধরনের চাপা নিস্তব্ধতার মধ্যে সেনা কমাণ্ডের নিয়মিত কাজ চলছে। এক দিকে মুসলিম সৈন্যদের কাজে মন নেই। আবার অন্যরা যেন কিছু একটা লুকোতে চাচ্ছে মুসলিম তথা মোহামেডানদের কাছ থেকে। এর মধ্যেই পড়ন্ত বেলায় হঠাৎ করেই অফিস অর্ডার এলো মুসলিম সৈন্যদের জন্য।  শেষ বিকেলে নিজ দফতরের কাজগুলো সেড়ে নিচ্ছেন লাহোরের অমৃতসর জেলার ডেপুটি কমিশনার (জেলা কমিশনার) ফ্রেডরিক কপার। সূর্য পশ্চিমে হেলে প...

ইন্দোনেশিয়ান সিনেমা 99 Name of love

ছবি
  আমরা যত যাই করিনা কেন তা আল্লাহর পরিকল্পনা মতেই হবে। সে জন্য ভালবাসাটা হতে হবে একমাত্র আল্লাহকে কেন্দ্র করে। তাঁর রয়েছে ৯৯ টি নাম। কিন্তু ৯৯ টি কেন? ১০০ টি নাম কেন হল না? এসব নিয়ে বানানো হয়েছে ইন্দোনেশিয়ান সিনেমা 99 Name of love । একজন মিডিয়াকর্মীকে নিয়ে শুরু সিনেমার প্লট। যিনি 'তালিয়ার কথা' নামে একটি গচিফ শো'র উপস্থাপক। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গোপন বিষয় বের করে আনাই তার কাজ। কিন্তু একদিন সব ওলটপালট হয়ে যায় যেদিন তার অফিসে এক অপরিচিত লোক আসে। চাকুরী না হারালেও ডিমোশন হয় তার। বন্ধ হয়ে যায় টিআরপিতে সর্বোচ্চ রেটিংয়ে থাকা অনুষ্ঠানটি। কিন্তু কেন, এবং পরে কী হয়েছে? তা জানতে হলে দেখুন 99 Name of love (বাংলা সাবটাইটেল available)। মুভি দেখতে ক্লিক করুন   বাংলা সাবটাইটেল ডাউনলোড  

মোগলনামা-৬ (বাবরের মদপান)

একবার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সম্রাট বাবর। যুদ্ধ শুরুর আগ মূহুর্তে তিনি তার বার হাজার সৈন্যের সবাইকে ডাকলেন। এরপর আল্লাহর দরবারে সবাইকে নিয়ে দু'হাত তুলে মুনাজাত ধরলেন আর বললেন, 'হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করো, আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর জীবনে কখনো মদপান করবো না। আমার সব অপরাধ ক্ষমা করো আর তার পরিবর্তে যুদ্ধে মান-ইজ্জত রক্ষা করো...।' সম্রাট বাবর যখন আল্লাহর কাছে এই দোয়া করছিলেন, তখন এতটাই কান্নাকাটি করছিলেন যে, তার চোখের পানিতে বুক ভিজে যায়। ভারত জনের ইতিহাস বইয়ের প্রণেতা সহ অনেক ইতিহাস প্রণেতার মতে বাবর একজন মদ্যপ শাসক ছিলেন। তাদের যুক্তি হিসেবে উপরের দোয়াটি কোট করা হয়েছে। মোগল সাম্রাজ্যের আকবর ছাড়া অন্য সম্রাটেরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন। জাহাঙ্গীর প্রথমে বাবা আকবরের মত ইসলাম বিরোধী থাকলেও মুজাদ্দীদে আলফে সানীর কারণে তওবা করে ইসলামে ফিরে আসেন। ইন্ডিয়ান পাঠ্যক্রম 'ভারত জনের ইতিহাস সহ' অনেক ইতিহাস প্রণেতারা এই মোগল সম্রাটদের ব্যপারে মিথ্যাচার আর বিকৃত ইতিহাস প্রণয়ন করেছেন। প্রকৃত ইতিহাসের তুলনায় মিথ্যাচারের সংখ্যাটাই বেশি। মজার ব্যাপার হচ...

মোগলনামা-৫ (যে হিন্দু নারীর কারণে সম্রাট হুমায়ুন রাজ্য হারিয়েছিলেন)

সম্রাট হুমায়ুন মোগল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় বাদশাহ ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা বাবরের মৃত্যুর পর তার পুত্র হুমায়ুন মসনদে বসেন ১৫৩০ সালে। কিন্তু এর ১০ বছর পর  ১৫৪০ সালে তিনি বাদশাহ শের শাহ'র কাছে পরাজিত হয়ে রাজ্য হারান। শেরশাহ এর আগেও আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু হুনায়ুনের কাছে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যান। এরপর শের শাহ ছিলেন সুযোগের অপেক্ষায়।  অবশেষে পেয়েও গেলেন তিনি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দিল্লি-আগ্রা দখলও করে নেন ইতিহাসের সেরা এই শাসক। হুমায়ুন পালিয়ে যান ইরান। সম্রাট হুমায়ুন তখন হিন্দুস্তানের রাজ্যগুলোর অন্যতম শক্তিশালী শাসক।  একদিন তার কাছে একটি পত্র এলো। সেই সাথে এলো একটি কয়েকটি সুতার একটি খণ্ড।  যাকে 'রাখি' বলা হয়। চিঠিটি পাঠিয়েছেন রানী কর্ণবতি। তিনি ছিলেন বিধবা। তার একমাত্র সন্তানটি তখনো শিশু। এরমধ্যেই তাদের রেখে রাজা মারা যান। শিশুপুত্রকে নিয়ে বিধবা রানী কর্ণবতী রাজ্য চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন। এরইমধ্যে মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে বেজে উঠলো যুদ্ধের ঘোষণা। রানীর দুর্বলতার সুযোগ পেয়ে পাশ্ববর্তী এক রাজা কর্ণবতীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। এই যুদ্ধের অর্থ হচ্ছে, রানীর নিশ্...

আসুন পড়ি

আর কিছুক্ষণ বাকি, তারপরই ফ্রান্সিস উপকূল পৌঁছে যাবে। জাহাজটি যতই বন্দরের কাছাকাছি হচ্ছে ততই তার বুকের দুপদুপানিটা বেড়ে যাচ্ছে। এর আগেও সে কয়েকটি বন্দরে গিয়েছে কিন্তু জাহাজ থেকে নামার সাহস পায়নি। যখন কোন বন্দরে গিয়ে জাহাজ দাঁড়াতো তখন সবাই নেমে গেলেও ফ্রান্সিস অন্ধকার কোন এক কোণে গিয়ে ঘাপটি মেরে থাকতো। পরে জাহাজ সেই বন্দর ছেড়ে আসলে তবেই তার প্রাণ ফিরে পেত। কিন্তু এবার আর সেই উপায় নেই। নামতেই হবে তাকে। তাই সে নিজের জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে নিয়ে পাটাতনে গিয়ে দাঁড়ায়।  যাত্রী-মাল্লাদের সবার পেছনে দাঁড়িয়েছে সে। আসপাশটা ভাল করে দেখ নিল, যাতে করে মোহামেডানগুলো হামলা করতে আসলে অন্তত লুকানোর চেষ্টা করতে পারে। অবশ্য কাজ তাতে হবে বলে মনে হয় না। ঐ তো পাড়ে লাল উর্দি পড়া কয়েকজন যবনকে দেখা যাচ্ছে। মুখে টিপিক্যাল মুসলিম দাড়ি, আর কোমরে তলোয়ার ঝুলানো। এবার তার বিশ্বাস পুরোদস্তুর সত্যি হল। আসলেই মুসলিমরা খুনি-দস্যির দল। এদের হাতে পড়লে কপালে কী আছে সেটা ইশ্বরই জানেন। এসব ভাবতে ভাবতেই সে চলে এলো পাটাতনের একেবারেই সম্মুখভাগে।  অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই নামতে হবে তাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ...

প্রসঙ্গ, রাজা জালালুদ্দিন দ্বারা ব্রাহ্মণদের গোমাংস ভক্ষণঃ যে সত্যটি গোপন করলেন শ্রীবিনয়

ভারতীয় একজন ইতিহাস লেখক আছেন, নাম শ্রীবিনয় ঘোষ। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, 'ভারতজনের ইতিহাস '। এই বইটি সম্ভবত ভারতে কলকাতা রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। এই বইয়ের এক জায়গায় আছে, রাজ্যটির উত্তরবঙ্গে তৎকালীন একজন রাজা ছিলেন জালালুদ্দিন। ১৪১৮ সালে তিনি সিংহাসনে বসার পর ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খেতে বাধ্য করেছিলেন...। ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের কারণগুলো খুঁজতে গিয়ে বুঝলাম শ্রীবিনয় এই বইয়টির অনেকাটা ভুমিকা রয়েছে । এই বইয়ের অনেক স্থানেই ইতিহাসের ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল ইতিহাস চিত্রিত হয়েছে। বুঝুন, যদি বর্তমান কট্টর মানুষিকতার হিন্দুরা পড়ে যে, আগেরকালের মুসলিম রাজারা হিন্দু ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খেতে বাধ্য করতেন, তাহলে তারা করোনায় মুসলিমদের হাসতালে চিকিৎসা নিতে দিবে কেন? অবশ্য রাজা জালালুদ্দিন যে ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খেতে বাধ্য করেছিলেন, সেটা সত্য। কিন্তু এই রাজা জালালুদ্দিন কে, কেন তিনি সেটা করেছেন তা শ্রীবিনয় এড়িয়ে গেছেন সুকৌশলে। বাস্তবের ইতিহাস কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং। রাজা জালালুদ্দিন ১৪১৮ সালে সিংহাসনে বসেন। এর আগ...

মুভি রিভিউ: Adaminte Makan Abu, আবেগ আর ধার্মীকতা নির্ধারণ করবে যে সিনেমা

ছবি
আবেগ দিয়ে ধর্ম চলে না। ইসলাম ধর্মে আবেগের এক চুলও মূধ্য নাই। Adaminte Makan Abu তেমনি একটা সিনেমা, যেখানে ধর্মের প্রতি ভালবাসায় ভরপর এক ধর্মপরায়ন মুসলিমের জীবনকাজিনী ফুটে উঠেছে। 

মুভি রিভিউঃ 'The Way Back'

ছবি
কিছু সিনেমা বারবার দেখলেও যেন মন ভরতে চায় না। The Way Back তেমনি একটা মুভি। এইটা সিনেমা হলেও কাহিনী সত্য। এটি আপনাকে কেবল গত শতাব্দীর যুদ্ধ-বিগ্রহের সময়টাতেই নিয়ে যাবে না, সেই সাথে নিয়ে যাবে কমিউনিস্ট শাসনের নিগৃহীত যুগে। যারা যখন, যাকে খুশি, প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে আটকে রাখতো।  তেমনি একটি বাস্তব কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কমিউনিস্ট শাসিত ভেঙ্গে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন আটক বন্দীদের বরফে ঢাকা সাইবেরিয়ার  বন্দীশিবিরে আটকে রেখেছিল। এই বন্দীশালার নাম গুলাগ বন্ধী শিবিরি। ভয়ঙ্কর এই গুলাগের কথা আলেক্সান্দ্রা সলজেনিৎসিন তার The Gulag Archipelago বা গুলাগ দ্বিপপুঞ্চ বইতে লেখে গেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এই বন্দীশিবিরে আটক ছিলেন  পোলিশ Sławomir Rawicz । রাশান স্ত্রীর বাসা থেকে আটকের পর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। স্লোমির বুঝতে পারেন একমাত্র মৃত্যু ছাড়া এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার আর কোন উপায় নেই। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই বন্দীশালা থেকে পালাবেন। এতে মৃত্যু হলেও দুঃখ থাকবে না। শুরু হয় প্রস্তু...