মোগলনামা-৬ (বাবরের মদপান)
একবার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সম্রাট বাবর। যুদ্ধ শুরুর আগ মূহুর্তে তিনি তার বার হাজার সৈন্যের সবাইকে ডাকলেন।
এরপর আল্লাহর দরবারে সবাইকে নিয়ে দু'হাত তুলে মুনাজাত ধরলেন আর বললেন, 'হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করো, আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর জীবনে কখনো মদপান করবো না। আমার সব অপরাধ ক্ষমা করো আর তার পরিবর্তে যুদ্ধে মান-ইজ্জত রক্ষা করো...।'
সম্রাট বাবর যখন আল্লাহর কাছে এই দোয়া করছিলেন, তখন এতটাই কান্নাকাটি করছিলেন যে, তার চোখের পানিতে বুক ভিজে যায়।
ভারত জনের ইতিহাস বইয়ের প্রণেতা সহ অনেক ইতিহাস প্রণেতার মতে বাবর একজন মদ্যপ শাসক ছিলেন। তাদের যুক্তি হিসেবে উপরের দোয়াটি কোট করা হয়েছে।
মোগল সাম্রাজ্যের আকবর ছাড়া অন্য সম্রাটেরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন। জাহাঙ্গীর প্রথমে বাবা আকবরের মত ইসলাম বিরোধী থাকলেও মুজাদ্দীদে আলফে সানীর কারণে তওবা করে ইসলামে ফিরে আসেন।
ইন্ডিয়ান পাঠ্যক্রম 'ভারত জনের ইতিহাস সহ' অনেক ইতিহাস প্রণেতারা এই মোগল সম্রাটদের ব্যপারে মিথ্যাচার আর বিকৃত ইতিহাস প্রণয়ন করেছেন। প্রকৃত ইতিহাসের তুলনায় মিথ্যাচারের সংখ্যাটাই বেশি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, অন্যদের তুলনায় তাদের ইতিহাস রচনায় আকবরকে হিরোর আসনে বসানো হয়েছে। 'গ্রেট'র তকমা দেয়া হয়েছে ইতিহাসের লম্পট, চরিত্রহীন এই শাসককে। অথচ তিনি সবমিলিয়ে ৩০০ টি বিয়ে করেছেন। এর বাহিরে ছিল অসংখ্য রক্ষিতা। যারা ছিল মূলত হিন্দু রাজপুত, জমিদারদের স্ত্রী, কণ্যা। ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত সুবিধা হাতিয়ে নেয়ার জন্য তারা আকবরকে নিজ কণ্যা, বোন বা স্ত্রী উপঢৌকন হিসেবে দিত। আর তাদের সম্মিলিত প্রয়াসেই প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের ফলভোগ করতো হিন্দুরা আকবরের মাধ্যমে।
এসব কারণে তাদের কাছে আকবর 'গ্রেট' হলেও অন্যরা খলনায়ক। এজন্য তারা তাদের নামে কুৎসা, মিথ্যাচারের ফিরিস্তি রচনার মাধ্যমে তাদের চরিত্র লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এমনই একটি মিথ্যাচার চালানো হয়েছে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের বিরুদ্ধে। অথচ প্রকৃত ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সম্রাট বাবর যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তিনি খেয়াল করলেন তার বার হাজার সৈন্যবাহিনীর মধ্যে অনেক সেনাই মদ্যপ।
বাবর বুঝতে পারলেন এমন মাতাল সেনাদের নিয়ে যুদ্ধ করা যায়, কিন্তু যুদ্ধে জেতা যায় না। সে সাথে বাবর বাস্তবতাও জানতেন যে, যুদ্ধ পূর্ব মূহুর্তে যদি সৈন্যদের ওপর মদপানে কঠোরতা আরোপ করেন তাহলে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে, যুদ্ধের পরাজয় হবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্রাট বাবর বুদ্ধি খাটালেন। তিনি সৈনিকদের এক সঙ্গে জড়ো করে সবাইকে নিয়ে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করলেন নিজেও সৈনিকদের কাতারে দাঁড়িয়ে নিজেকে সম্বোধন করলেন, আল্লাহর কাছে মাপ চাইলেন। মুনাজাত শেষে অবাক কান্ড দেখা গেল। যেহেতু সম্রাটসহ সবাই আল্লাহর দরবারে ওয়াদা করেছেন জীবনে আর কখনো মদ খাবেন না, সেহেতু বেশিরভাগ সেনাই মদপান ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধে মননিবেশ করলেন। যুদ্ধে জিতলেন বাবর।
অথচ এমন ভাল একটা ঘটনাকে উল্টো মনগড়া ইতিহাস রচনা করলেন নির্দিষ্ট কিছু ইতিহাস রচিতা
এরপর আল্লাহর দরবারে সবাইকে নিয়ে দু'হাত তুলে মুনাজাত ধরলেন আর বললেন, 'হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করো, আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর জীবনে কখনো মদপান করবো না। আমার সব অপরাধ ক্ষমা করো আর তার পরিবর্তে যুদ্ধে মান-ইজ্জত রক্ষা করো...।'
সম্রাট বাবর যখন আল্লাহর কাছে এই দোয়া করছিলেন, তখন এতটাই কান্নাকাটি করছিলেন যে, তার চোখের পানিতে বুক ভিজে যায়।
ভারত জনের ইতিহাস বইয়ের প্রণেতা সহ অনেক ইতিহাস প্রণেতার মতে বাবর একজন মদ্যপ শাসক ছিলেন। তাদের যুক্তি হিসেবে উপরের দোয়াটি কোট করা হয়েছে।
মোগল সাম্রাজ্যের আকবর ছাড়া অন্য সম্রাটেরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন। জাহাঙ্গীর প্রথমে বাবা আকবরের মত ইসলাম বিরোধী থাকলেও মুজাদ্দীদে আলফে সানীর কারণে তওবা করে ইসলামে ফিরে আসেন।
ইন্ডিয়ান পাঠ্যক্রম 'ভারত জনের ইতিহাস সহ' অনেক ইতিহাস প্রণেতারা এই মোগল সম্রাটদের ব্যপারে মিথ্যাচার আর বিকৃত ইতিহাস প্রণয়ন করেছেন। প্রকৃত ইতিহাসের তুলনায় মিথ্যাচারের সংখ্যাটাই বেশি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, অন্যদের তুলনায় তাদের ইতিহাস রচনায় আকবরকে হিরোর আসনে বসানো হয়েছে। 'গ্রেট'র তকমা দেয়া হয়েছে ইতিহাসের লম্পট, চরিত্রহীন এই শাসককে। অথচ তিনি সবমিলিয়ে ৩০০ টি বিয়ে করেছেন। এর বাহিরে ছিল অসংখ্য রক্ষিতা। যারা ছিল মূলত হিন্দু রাজপুত, জমিদারদের স্ত্রী, কণ্যা। ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত সুবিধা হাতিয়ে নেয়ার জন্য তারা আকবরকে নিজ কণ্যা, বোন বা স্ত্রী উপঢৌকন হিসেবে দিত। আর তাদের সম্মিলিত প্রয়াসেই প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের ফলভোগ করতো হিন্দুরা আকবরের মাধ্যমে।
এসব কারণে তাদের কাছে আকবর 'গ্রেট' হলেও অন্যরা খলনায়ক। এজন্য তারা তাদের নামে কুৎসা, মিথ্যাচারের ফিরিস্তি রচনার মাধ্যমে তাদের চরিত্র লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এমনই একটি মিথ্যাচার চালানো হয়েছে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের বিরুদ্ধে। অথচ প্রকৃত ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সম্রাট বাবর যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তিনি খেয়াল করলেন তার বার হাজার সৈন্যবাহিনীর মধ্যে অনেক সেনাই মদ্যপ।
বাবর বুঝতে পারলেন এমন মাতাল সেনাদের নিয়ে যুদ্ধ করা যায়, কিন্তু যুদ্ধে জেতা যায় না। সে সাথে বাবর বাস্তবতাও জানতেন যে, যুদ্ধ পূর্ব মূহুর্তে যদি সৈন্যদের ওপর মদপানে কঠোরতা আরোপ করেন তাহলে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে, যুদ্ধের পরাজয় হবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্রাট বাবর বুদ্ধি খাটালেন। তিনি সৈনিকদের এক সঙ্গে জড়ো করে সবাইকে নিয়ে আল্লাহর কাছে মুনাজাত করলেন নিজেও সৈনিকদের কাতারে দাঁড়িয়ে নিজেকে সম্বোধন করলেন, আল্লাহর কাছে মাপ চাইলেন। মুনাজাত শেষে অবাক কান্ড দেখা গেল। যেহেতু সম্রাটসহ সবাই আল্লাহর দরবারে ওয়াদা করেছেন জীবনে আর কখনো মদ খাবেন না, সেহেতু বেশিরভাগ সেনাই মদপান ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধে মননিবেশ করলেন। যুদ্ধে জিতলেন বাবর।
অথচ এমন ভাল একটা ঘটনাকে উল্টো মনগড়া ইতিহাস রচনা করলেন নির্দিষ্ট কিছু ইতিহাস রচিতা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন