চাকমা রাজারা কি মুসলিম ছিলেন?


এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা রাজাদের তালিকা। যারা মূলত সুবিধাভোগী শ্রেণী।  নিজেদের ক্ষমতা টিকানোর জন্য যখন যে পাত্রে রাখা হয়, তখন সে পাত্রের আকার ধারণ করেন তারা।

তালিকায়  ৫ থেকে ১৩ নম্বরের নামগুলি দেখুন। মনে হচ্ছে যেন, রাজা জালাল খান থেকে রাজা ধরমবক্স খান পর্যন্ত ১৭১৫ থেকে ১৮৩২ পর্যন্ত শাসন করা রাজারা মুসলমান ছিলেন।


বাস্তবেই কি তাই? কখনোই না। তারা মুসলামন ছিলেননা। তালিকার সময়ানুযায়ী খেয়াল করলে বোঝা যাবে, মূলত চাকমা রাজারা তাদের স্বীয় সুবিধা চরিতার্থ করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতী-গোষ্টির কৃষ্টি-কালচার ও ধর্মীয় পরিচয় ধারন করে নিতেন। 


ধরম বখস খানের পর তার স্ত্রী কালিন্দী রাণী রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে কালিন্দী বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে নিলে এরপর থেকে চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মের শাসনে চলে যায়। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের সময় তিনি পার্বত্যে এলাকায় লুকিয়ে থাকা সিপাহীদের ইংরেজদের নিকট ধরিয়ে দিত। 


কালিন্দীর মৃত্যুর পর ১৮৭৪ সালে তার মেয়ে পক্ষের নাতি হরিশ চন্দ্র রাজা হন। এসময়ে ইংরেজরা তাকে ‘রায়’ উপাধীতে ভূষিত করে। এরপর থকেই চাকমা রাজারা তাদের নামের শেষে রায় উপাধী ধারণ করে আসছেন। বর্তমান রাজা দেবাশীষ রায় এই রাজাদেরই বংশধর। 


এখানে একটি জিনিষ খেয়াল করলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে, বর্তমান রাজা দেবাশীষ রায়ের পিতা ত্রিদিব রায় মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেন এবং পাকিস্তানে নির্বাসিত অবস্থায় ২০১৩ সালে সেখানেই মারা যান। মূলত চাকমা রাজারা তাদের সিংহাসনের জন্য সর্বদাই বুর্জোয়দের দাসত্ত্ব করে আসছিলেন। যেমনটি করেছিলেন মুসলিম শাসনামলে  মুসলিম নাম ধারন করে।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলা চলচ্চিত্রের সংকট ও সীমাবদ্ধতাঃ দুইটি বাংলা চলচ্চিত্রের পর্যবেক্ষণ ও তুলনামূলক পর্যালোচনা

কথাগুলো 'সাম্প্রদায়িক'

Coverage of Local Development Issues in Regional Newspaper of Chattogram