পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মোগলনামা-৬ (বাবরের মদপান)

একবার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সম্রাট বাবর। যুদ্ধ শুরুর আগ মূহুর্তে তিনি তার বার হাজার সৈন্যের সবাইকে ডাকলেন। এরপর আল্লাহর দরবারে সবাইকে নিয়ে দু'হাত তুলে মুনাজাত ধরলেন আর বললেন, 'হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করো, আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর জীবনে কখনো মদপান করবো না। আমার সব অপরাধ ক্ষমা করো আর তার পরিবর্তে যুদ্ধে মান-ইজ্জত রক্ষা করো...।' সম্রাট বাবর যখন আল্লাহর কাছে এই দোয়া করছিলেন, তখন এতটাই কান্নাকাটি করছিলেন যে, তার চোখের পানিতে বুক ভিজে যায়। ভারত জনের ইতিহাস বইয়ের প্রণেতা সহ অনেক ইতিহাস প্রণেতার মতে বাবর একজন মদ্যপ শাসক ছিলেন। তাদের যুক্তি হিসেবে উপরের দোয়াটি কোট করা হয়েছে। মোগল সাম্রাজ্যের আকবর ছাড়া অন্য সম্রাটেরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন। জাহাঙ্গীর প্রথমে বাবা আকবরের মত ইসলাম বিরোধী থাকলেও মুজাদ্দীদে আলফে সানীর কারণে তওবা করে ইসলামে ফিরে আসেন। ইন্ডিয়ান পাঠ্যক্রম 'ভারত জনের ইতিহাস সহ' অনেক ইতিহাস প্রণেতারা এই মোগল সম্রাটদের ব্যপারে মিথ্যাচার আর বিকৃত ইতিহাস প্রণয়ন করেছেন। প্রকৃত ইতিহাসের তুলনায় মিথ্যাচারের সংখ্যাটাই বেশি। মজার ব্যাপার হচ...

মোগলনামা-৫ (যে হিন্দু নারীর কারণে সম্রাট হুমায়ুন রাজ্য হারিয়েছিলেন)

সম্রাট হুমায়ুন মোগল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় বাদশাহ ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা বাবরের মৃত্যুর পর তার পুত্র হুমায়ুন মসনদে বসেন ১৫৩০ সালে। কিন্তু এর ১০ বছর পর  ১৫৪০ সালে তিনি বাদশাহ শের শাহ'র কাছে পরাজিত হয়ে রাজ্য হারান। শেরশাহ এর আগেও আক্রমণ করেছিলেন, কিন্তু হুনায়ুনের কাছে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যান। এরপর শের শাহ ছিলেন সুযোগের অপেক্ষায়।  অবশেষে পেয়েও গেলেন তিনি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দিল্লি-আগ্রা দখলও করে নেন ইতিহাসের সেরা এই শাসক। হুমায়ুন পালিয়ে যান ইরান। সম্রাট হুমায়ুন তখন হিন্দুস্তানের রাজ্যগুলোর অন্যতম শক্তিশালী শাসক।  একদিন তার কাছে একটি পত্র এলো। সেই সাথে এলো একটি কয়েকটি সুতার একটি খণ্ড।  যাকে 'রাখি' বলা হয়। চিঠিটি পাঠিয়েছেন রানী কর্ণবতি। তিনি ছিলেন বিধবা। তার একমাত্র সন্তানটি তখনো শিশু। এরমধ্যেই তাদের রেখে রাজা মারা যান। শিশুপুত্রকে নিয়ে বিধবা রানী কর্ণবতী রাজ্য চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন। এরইমধ্যে মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে বেজে উঠলো যুদ্ধের ঘোষণা। রানীর দুর্বলতার সুযোগ পেয়ে পাশ্ববর্তী এক রাজা কর্ণবতীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। এই যুদ্ধের অর্থ হচ্ছে, রানীর নিশ্...

আসুন পড়ি

আর কিছুক্ষণ বাকি, তারপরই ফ্রান্সিস উপকূল পৌঁছে যাবে। জাহাজটি যতই বন্দরের কাছাকাছি হচ্ছে ততই তার বুকের দুপদুপানিটা বেড়ে যাচ্ছে। এর আগেও সে কয়েকটি বন্দরে গিয়েছে কিন্তু জাহাজ থেকে নামার সাহস পায়নি। যখন কোন বন্দরে গিয়ে জাহাজ দাঁড়াতো তখন সবাই নেমে গেলেও ফ্রান্সিস অন্ধকার কোন এক কোণে গিয়ে ঘাপটি মেরে থাকতো। পরে জাহাজ সেই বন্দর ছেড়ে আসলে তবেই তার প্রাণ ফিরে পেত। কিন্তু এবার আর সেই উপায় নেই। নামতেই হবে তাকে। তাই সে নিজের জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে নিয়ে পাটাতনে গিয়ে দাঁড়ায়।  যাত্রী-মাল্লাদের সবার পেছনে দাঁড়িয়েছে সে। আসপাশটা ভাল করে দেখ নিল, যাতে করে মোহামেডানগুলো হামলা করতে আসলে অন্তত লুকানোর চেষ্টা করতে পারে। অবশ্য কাজ তাতে হবে বলে মনে হয় না। ঐ তো পাড়ে লাল উর্দি পড়া কয়েকজন যবনকে দেখা যাচ্ছে। মুখে টিপিক্যাল মুসলিম দাড়ি, আর কোমরে তলোয়ার ঝুলানো। এবার তার বিশ্বাস পুরোদস্তুর সত্যি হল। আসলেই মুসলিমরা খুনি-দস্যির দল। এদের হাতে পড়লে কপালে কী আছে সেটা ইশ্বরই জানেন। এসব ভাবতে ভাবতেই সে চলে এলো পাটাতনের একেবারেই সম্মুখভাগে।  অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই নামতে হবে তাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ...

প্রসঙ্গ, রাজা জালালুদ্দিন দ্বারা ব্রাহ্মণদের গোমাংস ভক্ষণঃ যে সত্যটি গোপন করলেন শ্রীবিনয়

ভারতীয় একজন ইতিহাস লেখক আছেন, নাম শ্রীবিনয় ঘোষ। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, 'ভারতজনের ইতিহাস '। এই বইটি সম্ভবত ভারতে কলকাতা রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। এই বইয়ের এক জায়গায় আছে, রাজ্যটির উত্তরবঙ্গে তৎকালীন একজন রাজা ছিলেন জালালুদ্দিন। ১৪১৮ সালে তিনি সিংহাসনে বসার পর ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খেতে বাধ্য করেছিলেন...। ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের কারণগুলো খুঁজতে গিয়ে বুঝলাম শ্রীবিনয় এই বইয়টির অনেকাটা ভুমিকা রয়েছে । এই বইয়ের অনেক স্থানেই ইতিহাসের ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল ইতিহাস চিত্রিত হয়েছে। বুঝুন, যদি বর্তমান কট্টর মানুষিকতার হিন্দুরা পড়ে যে, আগেরকালের মুসলিম রাজারা হিন্দু ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খেতে বাধ্য করতেন, তাহলে তারা করোনায় মুসলিমদের হাসতালে চিকিৎসা নিতে দিবে কেন? অবশ্য রাজা জালালুদ্দিন যে ব্রাহ্মণদের গরুর মাংস খেতে বাধ্য করেছিলেন, সেটা সত্য। কিন্তু এই রাজা জালালুদ্দিন কে, কেন তিনি সেটা করেছেন তা শ্রীবিনয় এড়িয়ে গেছেন সুকৌশলে। বাস্তবের ইতিহাস কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং। রাজা জালালুদ্দিন ১৪১৮ সালে সিংহাসনে বসেন। এর আগ...

মুভি রিভিউ: Adaminte Makan Abu, আবেগ আর ধার্মীকতা নির্ধারণ করবে যে সিনেমা

ছবি
আবেগ দিয়ে ধর্ম চলে না। ইসলাম ধর্মে আবেগের এক চুলও মূধ্য নাই। Adaminte Makan Abu তেমনি একটা সিনেমা, যেখানে ধর্মের প্রতি ভালবাসায় ভরপর এক ধর্মপরায়ন মুসলিমের জীবনকাজিনী ফুটে উঠেছে। 

মুভি রিভিউঃ 'The Way Back'

ছবি
কিছু সিনেমা বারবার দেখলেও যেন মন ভরতে চায় না। The Way Back তেমনি একটা মুভি। এইটা সিনেমা হলেও কাহিনী সত্য। এটি আপনাকে কেবল গত শতাব্দীর যুদ্ধ-বিগ্রহের সময়টাতেই নিয়ে যাবে না, সেই সাথে নিয়ে যাবে কমিউনিস্ট শাসনের নিগৃহীত যুগে। যারা যখন, যাকে খুশি, প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে আটকে রাখতো।  তেমনি একটি বাস্তব কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কমিউনিস্ট শাসিত ভেঙ্গে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন আটক বন্দীদের বরফে ঢাকা সাইবেরিয়ার  বন্দীশিবিরে আটকে রেখেছিল। এই বন্দীশালার নাম গুলাগ বন্ধী শিবিরি। ভয়ঙ্কর এই গুলাগের কথা আলেক্সান্দ্রা সলজেনিৎসিন তার The Gulag Archipelago বা গুলাগ দ্বিপপুঞ্চ বইতে লেখে গেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এই বন্দীশিবিরে আটক ছিলেন  পোলিশ Sławomir Rawicz । রাশান স্ত্রীর বাসা থেকে আটকের পর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। স্লোমির বুঝতে পারেন একমাত্র মৃত্যু ছাড়া এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার আর কোন উপায় নেই। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই বন্দীশালা থেকে পালাবেন। এতে মৃত্যু হলেও দুঃখ থাকবে না। শুরু হয় প্রস্তু...

Coverage of Local Development Issues in Regional Newspaper of Chattogram

ছবি
Coverage of Local Development Issues in Regional Newspaper of Chattogram Project Report Submitted to the Port Coty International University, Chattogram in partial fulfillment of the requirements for the degree of MASTER OF SOCIAL SCIENCE By Siddiqe Ahmed Azad ID: MJR 015 05 003 DEPARTMENT OF JOURNALISM AND MEDIA STUDIES © PORT CITY INTERNATIONAL UNIVERSITY CHATTOGRAM – 4225 December 2018 Master’s Project on “Coverage of Local Development Issues in Regional Newspaper of Chattogram” SUBMITTED TO Ms. Dilruba Akter Lecturer Department of Journalism and Media Studies Port City International University SUBMITTED BY: Siddiqe Ahmed Azad ID # MJR 015005003 Department of Journalism and Media Studies DATE OF SUBMISSION:   December, 2018 Title of Project        ...