আসুন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি বন্ধ করি
কিছু দিন আগে যখন আমার অত্যান্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধার্ঘ ব্যক্তিত্ব হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে দিনাতিপাত করছিলেন, তখন এক প্রিয় ব্লগার দুষ্টুমির ছলে এমন একটি মন্তব্য করেছিল যা মোটেও সহ্য হয়নি। ফলস্বরূপ তার সাথে সম্পর্কের হিমবাহ ঘটে।
কিছু আঁতেল (এর চাইতে ভাল শব্দ খঁজে পিইনি) ব্লগার, ফেবু ইউজার হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু নিয়েও ঐসব বাম ঘরনার পশুশ্রেণীর মত উৎসব রচনায় উঠে পড়ে লাগছে। আমার কথা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তি! তার কৃত কর্মের বিষয়াদি মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের বিবেচ্য বিষয়, এখানে আমাদের কি করার আছে।
আজ একজন আমাকে রিতিমত প্রশ্ন করে বসেছেন, এই জায়গায় বুশ হলে আপনি কি করতেন? কিছুই করতাম না।
মৃতব্যক্তিকে আমার কাছে মুসলমান মনে হলে জানাযায় যেতাম, আর অমুসলমান মনে হলে জানাযায় যেতাম না। এই তো হওয়ার কথা! ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের পরিচয় দু’টি ১/মুসলিম ২/ অমুসলিম, কিসের আবার আস্তিক-নাস্তিক।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে আমারে নির্দেশ দিয়েছেন, মন্দের জবাব ভাল দিয়ে দিতে। বোমা মেরে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যেত, তাহলে আজ ক্ষমতায় জেএমবি থাকতো!
রাসুল (স.) কিংবা সাহাবীদের প্রর্যন্ত যেতে হবে না। সুলতান সালাহউদ্দিনের ইতিহাস সবারই জানার কথা, দিনে যুদ্ধ করে রাজা ডিউককে আহত করার পর রাতে তিনি গিয়ে তার শশ্রুষা করার জন্য তার শিয়রে চলে গিয়েছেন।
বুলগেরিয়ার রাজা স্টেফিনের মত অনেক তৃতীয় নয়ন আছে যারা দূর থেকে সত্যকে অবলোকন করে সত্যের পথিক হন। সুলতান মুরাদ যদি সহনশীলতার পরিচয় না দিতেন! তাহলে ডেসপিনাদের মত ময়িউষী নারী, যিনি সুলতানা হয়েও হেরেমে না থেকে ইসলাম প্রচারে ব্রত হন। আর তার প্রভাবেই সমস্ত বলকান অঞ্চলে ইসলামের দ্যুতি ছরিয়ে পড়ে। আর এসবের কৃতিত্ব অবশ্যই সুলতান মুরাদের প্রাপ্য।
ইসলামে যদি এমন বীরদের আগমন না হয়ে আমাদের মত গর্দভদের (যারা মৃতকে নিয়ে টানা হেচরা করে) আগমন বেশি হত! তাহলে ইসালাম সম্প্রসারণের পরিবর্তে দিনদিন সংকোচিত হত, আর এভাবেই একদিন নিশ্চিহ্ন হেয়ে যেত।
পুনশ্চ: আমার এই লেখার উদ্দেশ্য মোটেও কারো পক্ষাবলম্বণ করা নয়, বরং মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে রাজনীতির বিরোধীতা মাত্র। একজন হিন্দু মারা গেলেও প্রতিবেশির যে হক তা অবশ্যই আমাকে পালন করতে হবে।...তোমরা সহজ কর, কঠিণ কর না -আল হাদীস
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন