ক্ষমা করিস ফেলানী
কাল আমার বিয়ে। সারাদিন ব্যাপক খাটাখাটনিতে কেটেছে। ব্যস্ততা বলতে যা বুঝায় তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি হল টেনশন। কাজ কারবার যা আছে, তাতো বাবা-মা, ভাই-বোন আর আত্মীয় সজনরাই করছে। আমার আর কি কাজ, চুল কাটা, সেভা করা, অভিজ্ঞ বন্ধুদের কাছ থেকে বিড়াল মারার অভিজ্ঞাতা নেয়া এইতো। সন্ধ্যোর পর কণে পক্ষের মেয়েরা এসে গায়ে হলুদ লাগিয়ে গেছে। তাদের এবং আমার আত্মীয় সজন আর পারাপশ্বির হৈহুল্লর আন ন্দের মাঝেইতো আমার আনন্দ। রাত ১২টা বেজে গেছে, এই রাতটুকু পেরিয়ে গেলেই সেই মহেন্দ্রক্ষণ। পঁচিশটি বছর পেরিয়ে আগামী কাল আমি সফল পুরুষদের কাতারে দাঁড়াবো; না সময়টুকু যেন কাটছেই না। শুতে গিয়ে বরাবরের মত মাঝ খাটে শুলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে যেন দুটো চোখ আমার দিকে মিটিমিটি করে চেয়ে আছে, আর বলছে কি ব্যাপার আমাকে শুতে দেবে না? চমকে উঠে চারদিকে চেয়ে দেখি কেউ নেই। মনেমনে হেসে ডানপাশে সরে শুলাম। কারন কাল থেকেতো আমাকে একপাশেই শুতে হবে। ক্লান্ত শরীর, যার কারনে শোয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লাম। এই ভাইয়া ওঠ, ওঠ না! ধরমরিয়ে ঘুমঘুম চোখে বল্লাম কে? কে? -ভাইয়া আমি, - আমি কে?